অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে পার্শবর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছাড়াও চিন, শান রাজ্য এবং সাগাইং, ম্যাগওয়ে, বাগো ও মান্দালয় অঞ্চলের এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
ডব্লিউএফপি’র অ্যাডভান্সড ডিজাস্টার অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ম্যাপিং (এডিএএম) বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বেশকিছু অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, ৯০ কিলোমিটার এবং ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে যেসব শহর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেগুলোর বেশিরভাগই রাখাইন, চিন রাজ্য ও সাগাইং অঞ্চলের অংশ। এসব অঞ্চলের ১৫ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে ডব্লিউএফপি।
জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ রোববার বিকেলের দিকে রাখাইনে আঘাত হানবে। স্থানীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে তাগিদ দিয়েছে। প্রয়োজনে পরিকল্পনা করে জরুরিভিত্তিতে সহায়তার আহ্বানও জানানো হয়।
অপরদিকে, দেশটির জান্তা সরকার ও স্থানীয় নানা গ্রুপ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মনিটরিং করে যাচ্ছে। জরুরি ত্রাণসামগ্রী সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে অল্প সময়ের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে জাহাজ ও সড়কপথে গাড়ির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করা হবে।
Leave a Reply